রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সুদিন ফিরছে পাট চাষে

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সোনালী আঁশ পাট চাষে কৃষকের সুদিন ফিরছে। পাটের দাম ভালো পাওয়া পাট চাষে আগ্রহী কৃষক। চলতি পাট মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

সরেজমিনে গোয়ালন্দের চারটি ইউনিয়নে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পুকুর, ডোবা, নালায় পানি নেই, এতে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক। অনেকে ঘোড়ার গাড়ি, নছিমন, ভ্যানে করে মাঠ থেকে পাট এনে পদ্মার মোড়, ক্যানেল ঘাট, উজানচর মান্নান গাছির বিল, দেবগ্রাম আন্তার মোড়, পদ্মা নদীতে জাগ দিচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ বেশি হচ্ছে। গত কয়েক দিন বৃষ্টি ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পাট চাষিরা পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং আবার অনেক গ্রামে দেখা গেছে নারী-পুরুষ শিশুসহ পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছে। নতুন পাট হাটে বাজারে তা বিক্রি করাসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

গত বছর পাট আবাদ হয়েছিল ৪২ শ’ ৮০ হেক্টর আর চলতি মৌসুমে এবার গোয়ালন্দ উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ৪হাজার ৬শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে।

গত বছরের তুলনায় এবার ৩৮০ হেক্টর জমিতে পাট বেশি আবাদ হয়েছে। তবে পাট আবাদের শুরুতে বৃষ্টি পানিতে নিচু জমির কিছু পাট তলিয়ে নষ্ট হয়। পাট কাটার মৌসুম শুরুতে অনাবৃষ্টি আর টানা খরার কারণে পাট জাগ দেয়ার জন্য পানি সঙ্কটে পড়েছিলো কৃষক। এখন বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ডোবা নালায় পাট জাগ দিতে পারছে তারা। তবে হাট বাজারে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি রয়েছে।

ছোটভাকলা ইউনিয়নের কৃষক আ. রাজ্জাক শেখ বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পাট উৎপাদন হয় প্রায় ৮-১০ মন। যার বাজারদর প্রায় ২২-২৪ হাজার টাকা। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়।

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, এ মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৬শত ৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩৮০ হেক্টর পাট বেশি আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। কৃষক ভরা পাট মৌসুমে পাট কাটা, জাগ দেয়া এবং পাটের আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রথম দিকে পানি সঙ্কটের কারণে পাট জাগ দেয়া নিয়ে সমস্যা হলেও এখন খালে বিলে পানি রয়েছে। পাটের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন