ঢাকার সাভারে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সামিয়া আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানা এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে। গ্রেফতাকৃত সাদনাম সাকিব হৃদয় সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লার জাকারিয়া হোসেনের ছেলে।
নিহতের ছোট মামা বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে সামিয়াকে বিয়ে করে হৃদয়। বিয়ের সময় ২৫ ভরি স্বর্ণের গহনা, মোটরসাইকেল ও দামী ফার্নিচার উপঢৌকন হিসাবে দেয়া হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই সেই সামিয়ার গহনা কৌশলে নিজের কাছে নেয় শ্বাশুড়ি। এরপর প্রায়ই গহনা নিয়ে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও স্বামীর সাথে কাটাকাটি হতো সামিয়ার।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার গহনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় স্বামী ও শশুর-শ্বাশুরি সাথে। বিকালের দিকে সামিয়া ফোন করে জানায়, শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করেছে। তার কিছুক্ষন পরেই সামিয়ার স্বামী ফোনে জানায় সামিয়া স্টোক করছে। হাসপাতালে আছে। পরে আমরা এনাম মেডিকেলে গিয়ে সামিয়ার লাশ দেখতে পাই।
সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ সামিয়াকে হত্যার অভিযোগ উঠার পর তার স্বামী সাদনাম সাকিব হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্বশুর জাকারিয়া হোসেন ও শ্বাশুড়ি জায়েদা পারভিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা দুইজন পলাতক রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এঘটনায় নিহত সামিয়ার বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে জামাই সাদনাম সাকিব হৃদয়, বেয়াই জাকারিয়া হোসেন ও বেয়াইন জায়েদা পারভিনকে আসসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন