বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, আত্মহত্যা, নাকি হত্যা?

সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনা

রুহুল আমিন | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৪:৪০ পিএম | আপডেট : ৫:০৫ পিএম, ১৪ আগস্ট, ২০২২

নাটোরে কলেজ শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন, নাকি ‘হত্যার’ শিকার হয়েছেন।

যদিও এখন পর্যন্ত এমন প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে, ঘটনার পরপরই পুলিশ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সেই কলেজ শিক্ষার্থী মামুন হোসাইনকে (২২) থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

মূলত নাটোর শহরের বলারীপাড়া মহল্লার হাজী নান্নু ম্যানশনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন শিক্ষক খায়রুন নাহার ও মামুন দম্পতি। ওই বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী নিজাম উদ্দিন জানান, গত রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন মামুন। নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে মামুন ফ্ল্যাটে আসেন। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে হাসপাতালে কাজ আছে বলে মামুন চলে যান। এরপর ভোর ৬টার দিকে আবার ফিরে আসেন। এর প্রায় পাঁচ মিনিট পরে মামুন জানান তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সবদিক বিবেচনা করে এ ঘটনার তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। খায়রুন নাহারের কর্মস্থল গুরুদাসপুরের খুবজিপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাঈদ জানান, ঘটনাটি সকাল ১০টায় জেনেছেন তিনি। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এরপর থেকেই চলছে এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা।

গবেষক, লেখক ও সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই বিয়েটা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম বলে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। অনেকেই এ ব্যাপারে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গির বৈধতা এবং রাসূল (সা.) দৃষ্টান্ত পেশ করেছিলেন। আমি বলেছিলাম নবীদের অনেক বিষয় থাকে, যা সাধারণ মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়। ইসলামিক আইনে এই বিয়ে বৈধ ছিল সন্দেহ নেই। কিন্তু স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক বলে কিছু বিষয় থাকে, আমার বক্তব্য ছিল সেখানে। এই অস্বাভাবিক বিয়ের পরিণতিও অস্বাভাবিক হবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম। তবে এতটা অস্বাভাবিক বা এমন পরিণতি প্রত্যাশিত ছিল না।

তবিবুর রহমান তালুকদার নামে একজন লিখেছেন, নাটোরে শিক্ষিকা খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করে থাকলে তার দায় গণমাধ্যমেরও আছে।

ইশরাত মনি নামে একজন লিখেছেন, এই দেশের মানুষগুলো কুৎসিত রুপগুলো সামাজিক মাধ্যমে আর গণমাধ্যগুলোতে দেখা যায়। তোদের কি সমস্যা ছিল একজন মেয়ে তার চেয়ে বয়সে ছোট ছেলেকে বিয়ে করে সুখী থাকলে। এই সমাজের মানুষের মুখে থু....

সারমিন সুলতানা নামে একজন লিখেছেন- দুঃখজনক, এ সমাজ বড় খারাপ। আবুল হাসান লিখেছেন, ধিক্কার জানাই এই সমাজকে, তারা তো কোনো অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়নি। বয়সের তারতম্য হয়েছে তাকে কি, মনের মিলটাই বড়ো। মৃত্যুর কথা শুনে অনেক মর্মাহত হলাম।

জিসান রহমান লিখেছেন, হয়তবা তিনি প্রচুর ডিপ্রেশনে ছিলেন, আশেপাশের মানুষজনের কথা তিনি হয়তবা ভালোভাবে নিতে পারেননি। বিষয়টি দুঃখজনক। আরিয়ান জিসান আতিকের ভাষায়, এটা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না, হয়তোবা এই সমাজের কিছু নোংরা মানুষের জন্য আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন। সুমন নামে একজন লিখেছেন, কিছু মানুষের হিংসার কারণে ভালোবাসা হেরে যায়, এটাই তার বাস্তব উদাহরণ। অপরাধীদের শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। এভাবে আরও অনেকেই ওই শিক্ষিকার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। তারা এর সঠিক বিচার চান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন