১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এ অর্জনের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাকে বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি কারগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আসন অলংকৃত করেন। প্রধানমন্ত্রিত্ব লাভের পর তিনি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রথম মন্ত্রিসভা গঠন করেন। মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সংসদীয় সরকারের যাত্রা শুরু হয়। নিম্নোক্তভাবে তিনি মন্ত্রিসভা গঠন করে দফতরগুলো বণ্টন করেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের দফতর ছিল প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও বেতার, মন্ত্রিপরিষদ এবং সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম পেয়েছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। অর্থ, পরিকল্পনা ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এম মনসুর আলী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আবদুস সালাম আজাদ। ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান। স্থানীয় প্রশাসন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শেখ আব্দুল আজিজ। শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। শ্রম, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্ব পান জহুর আহমদ চৌধুরী। খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের দায়িত্ব পান ফণীভূষণ মজুমদার। আইন ও সংসদ, সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব পান কামাল হোসেন। আর বিদ্যুৎ, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমদ।
দেশের শাসনভার গ্রহণ ও মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্য দিয়ে তিনি দেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ একটি বিধ্বস্ত ভূমিতে পরিণত হয়েছিল। তিনি এ বিধ্বস্ত ভূমিকে ‘মানব ইতিহাসের জঘন্যতম ধ্বংসযজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ নারী ধর্ষিতা হবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। সদ্য স্বাধীন বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে তিনি তাঁর সকল মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করেন। বিংশ শতাব্দীতে হাতে গোনা যে কজন মহানায়ক নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করেছেন তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নামটি অন্যতম। ক্ষণজন্মা ঐ সমস্ত মহানায়কদের নামের পাশে বঙ্গবন্ধুর নামটি জ¦লজ¦ল করে ভাসছে। কেউ শত অপচেষ্টা করেও এ নামটি কখনও মুছে ফেলতে পারবে না। শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একজন ব্যক্তির নাম নয়, তিনি নিজেই এক অনন্য সাধারণ ব্যতিক্রমী ইতিহাস। সমাজ, দেশ ও কালের প্রেক্ষাপটে তিনি ব্যক্তি মুজিব থেকে হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে ইতিহাসের মহানায়ক। দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর বঙ্গবন্ধুর ডাকেই বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে অঙ্কিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। তাকে বাংলাদেশের জাতির জনক বলা হয়। তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন এই জননেতা। হয়ে উঠেছিলেন তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ছিলেন হিমালয়তুল্য উঁচু ব্যক্তিত্বের অধিকারী। কিউবার কিংবদন্তি বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ট্রো তাই বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে মানুষটি ছিলেন হিমালয় সমান। সুতরাং আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করি’।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনদরদি এক সংগ্রামী নেতা। তিনি তাঁর সারাটা জীবন দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে ব্যয় করেছেন। এ আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে তাকে ১৩ বছর জেল খাটতে হয়েছে। অথচ, তারই প্রাণ কেড়ে নেয় ঘাতকের ১৮টি নির্মম বুলেট। নির্মম বুলেটের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার সুগঠিত দেহ। শুধু তাকেই হত্যা করা হলো না। হত্যা করা হলো তার সাথে পরিবারের মোট ১৮ জন সদস্যকে। অবশ্য ঘাতকরা দূরের কেউ ছিল না। তার আশে-পাশের লোক ছিল তারা। স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় বাংলার মহানায়কের অপমৃত্যু ঘটে। এ পৈশাচিকতায় গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড ঘৃণার ঝড়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেলজয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, ‘মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোনো জঘন্য কাজ করতে পারে’। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ শ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে’। ‘দ্য টাইমস অব লন্ডন’-এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।’ একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে বিশ^সেরা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের হত্যার বড় অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস। জোট-নিরপেক্ষ (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলন। ভেন্যু, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স। উপস্থিত হন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের কিং ফয়সাল, মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফি। এরা ছিলেন স্ব স্ব দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এসকল নেতাকেই ঘাতকের নির্মম আঘাতে নিহত হতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালে কিং ফয়সাল ঘাতকের হাতে নিহত হন। ঘাতক দূরের কেউ ছিল না। আপনজনের হাতেই তিনি নিহত হন। আনোয়ার সাদাত ছিলেন মিশরের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর আনোয়ার সাদাত নিজ বাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হন। সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ৪ জন সেনা অফিসার তাকে গুলি ও গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যা করে। ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত ছিলেন সেদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নন্দিত নেতা। ২০০৪ সালে ৭৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইসরাইলিরা তাকে বিষপ্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি ছিলেন লিবীয় নেতা। তাকে লৌহমানব বলা হতো। তিনি পাশ্চাত্যের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ৪২ বছর দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করে। তিনি শতধাবিভক্ত আরববিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালান। তার শাসনামলে লিবিয়ায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়। ২০১১ সালে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রের হাতে তিনি নিহত হন। ভারতের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আজ পর্যন্ত ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী তিনিই। তিনি ভারতের চার চার বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর নিজের দেহরক্ষীর হাতে তিনি নিহত হন। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সামরিক অফিসারের হাতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মহান কিংবদন্তি নেতা। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ দেশ ও জাতির জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। তিনি সুনীতি, সুশান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর জীবনটা পর্যন্ত বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি মানুষের মাঝে সমতা, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার হাতে তৈরি বাংলাদেশ আজ খুব একটা ভালো নেই। তার রেখে যাওয়া আদর্শ অনেকাংশেই উপেক্ষিত। আজ আমরা তাঁর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করছি। তাঁর জন্য আমরা কোরআনখানি ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করছি। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করছি। বাজারে বাজারে তাঁর উজ্জীবিত ভাষণ প্রচার করছি। কিন্তু সেই আমরাই তার প্রদর্শিত রাজনীতিকে দখলদারিত্বের শিকারে পরিণত করেছি। রাজনীতিকে আমরা অনৈতিক চতুরতা ও ক্ষমতা দখলের হাতিয়ারে রূপান্তরিত করেছি। এটাকে আজ বড়োলোক হবার একমাত্র উপায় বানিয়ে নিয়েছি। রাজনৈতিক নোংরামিতে তরুণ সমাজকে রাজনীতিবিমুখ করে ফেলেছি। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলেছি। নিজেদের সংশোধন করার পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে আমরা অঘোষিত স্বৈরতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছি। নিজ দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বিলুপ্ত করেছি। সামান্য ইউনিয়ন, থানা ও জেলা কমিটিতে স্থান পেতে লাখ-লাখ, কোটি-কোটি টাকা ঘুষ দিচ্ছি-খাচ্ছি। আগের রাতে ভোট হবার মতো লজ্জাজনক ঘটনার অভিযোগ রচনা করছি।
দেশের গণতন্ত্রকে আজ বিশে^র কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ঘোষণা করেও ক্যাসিনো আর মাদকব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছি! অনেকে আবার নিজেদের ভূমিদস্যুর কাতারে নাম লিখিয়েছি। নদী দখল আর খাল দখল করে দখলদারদের কাতারে শামিল হয়েছি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তামাশার বস্তুতে রূপান্তরিত করেছি। জনপ্রতিনিধিগণকে ভোটারবিহীন প্রতিনিধিতে পরিণত করেছি। আইন রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে বেপরোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছি। সোনার বাংলাকে পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছি। প্রতি বছর দেশ থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছি। বিগত ১০ বছরে পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি! ক্ষমতার দাপটে আমরা দেশে-বিদেশে কালো টাকার পাহাড় গড়েছি। দেশের বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করেছি। শেয়ারমার্কেট, ডেসটিনি ও হলমার্ক কেলেংকারীর ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। দেশে সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে কঠিন করে ফেলেছি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতার নিকেতনে পরিণত করেছি। সন্তানদেরকে আমরা নৈতিক সন্তানের পরিবর্তে উপার্জনকারী ব্যক্তি হিসেবে তৈরি করছি। শিক্ষক নিয়োগে মেধার পরিবর্তে টাকা ও নীতিভ্রষ্ঠ রাজনীতি আর তেলবাজিকে প্রাধান্য দিয়েছি। শিক্ষকের মর্যাদাকে ভুলুণ্ঠিত করছি।
অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে, অনৈক্যের এ অপসংস্কৃতি দেশে আজও চলমান রয়েছে, যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য মোটেই সুখকর নয়। পরিশেষে বলতে চাই, যেকোনো খুনকে খুন হিসেবে বিবেচনা করা নৈতিকতার দায়। এ দায়কে সক্রিয় করে জাতীয় চেতনা ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টি করতে হবে। শুধু মুখে নয় বরং কাজ এবং আচরণ দিয়ে সেটা প্রমাণ করতে হবে। স্বাধীনতার মূলনীতিকে সমুন্নত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চেতনাকে লালন করতে হবে। আর তাঁর দর্শন ও চেতনা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজকের বাংলাদেশ তাঁর এ দর্শনের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে না। বিধায় স্বাধীনতার সুফলও সামগ্রিকভাবে জনগণ ভোগ করতে পারছে না।
লেখক: কলামিস্ট ও অধ্যাপক, দা‘ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
dr.knzaman@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন