সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনার অতি জোয়ারে ভোলার দৌলতখানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে উপজেলার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ । এর মধ্যে উপজেলার মুলভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন মদনপুরে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পানিবন্ধি এসব মানুষের কাছে পৌছাঁয়নি কোনো ত্রাণসামগ্রী।
জানা গেছে, গত শনিবার থেকে মদনপুর চরসহ, সৈয়দপুর ও ভবানীপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাহিরে বসবাসকারী মানুষ পানিবন্ধি হয়ে আছে। গত শনিবার পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, ভবানীপুর ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকায় পরিদর্শনে যান, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল। এসময় তিনি সহায় সম্বলহীন মানুষের মাঝে অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
মদনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুট্টু মাঝি বলেন, প্রতিদিন জোয়ারে বসতঘরে পানি উঠছে আর ভাটায় নামছে। এরমধ্যেই মাঁচা করে বাস করছে মানুষ। খাদ্য সংকটে অর্ধাহারে-অনাহারে কাটছে চরের মানুষের জীবন। পানিতে মানুষ, গবাদি পশু একসাথে বাস করলেও কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছে না।
মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নাছিরউদ্দিন নান্নু বলেন, জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের ৮ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। অনেককে উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে চরের মানুষ। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্য পায়নি তারা।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ভোলায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দৌলতখানে বেড়িবাঁধের বাহিরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় এবং বেড়িবাঁধের একটি অংশে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় । সেই অংশে মেরামত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন