কুষ্টিয়ায় চালককে হত্যা করে পিকআপ ছিনতাইয়ে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার ও পিকআপ উদ্ধার করেছে পিবিআই। যশোর থেকে ভাড়া করে আনা পিকআপের চালক মিনারুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে লাশ ফেলে দেয়ার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় জড়িত সন্দেহে আরশাদুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই কুষ্টিয়া।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়ার পিবিআই প্রধান পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় সেখানে জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং মামলার বাদি নিহত মিনারুলের স্ত্রী রাশিদা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা এবং পিবিআইয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় নিহতের স্ত্রী রাশিদা খাতুনকে স্বামী মিনারুল হত্যার আসামীদের উপর চরম ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়। তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আড়ষ্ট গলায় বলেন, “আমি সমিতি থেকে কিস্তিতে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ওই পিকআপটি কিনে দিয়েছি, নিজে খেয়ে না খেয়ে গাড়ির ভাড়া থেকে যে টাকা আসত তার সবটাই ঋণের কিস্তি দিতে শেষ হয়ে যায়। ওরা স্বামীকে মেরেছে, ঋণের দায়ে আমাকেও এখন জেলে ঢুকতে হবে।” এসময় তার কোলে ৫ বছর বয়সী আবির ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে মায়ের প্রলাপ দেখছিল। রাশিদা তার স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য গত ১০ আগষ্ট দুপুরে কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিকটস্থ পদ্মা নদীতে ভাসমান হাত পা বাধা, মুখে স্কচটেপ ও গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি সনাক্ত হয় যশোর জেলার নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার বাসিন্দা আয়ুব আলীর ছেলে পিকআপ চালক মিনারুল ইসলামের।
এঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা মওলা হাবাস্পুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আরশাদুল ইসলাম, একই গ্রামের ফেরদৌস আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম এবং নতুনহাট গ্রামের আব্দুল এর ছেলে তুফান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন