দেশের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশন রোগে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। তাদের মতে, এই রোগ এক নীরব ঘাতক, অনেকেই জানেন না তিনি উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন। এর প্রতিকারে নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনে ডাক্তার পরামর্শ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে (সোমবার) রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘আইপিডিআই হাইপারটেনশন সেন্টার’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞগণ এই মত দিয়েছেন।
দিন উপলক্ষ্যে এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সহযোগিতায় দিনব্যাপী ‘বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা’ দিয়েছে নতুন এই প্রতিষ্ঠানটি। এতে সমাজের বিভেন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় ডাক্তার পরামর্শে প্রয়োজনিয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা পত্র গ্রহণ করেন।
অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সম্মানিত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল শাফী মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর আলম।
অতিথিরা মন্তব্য করেন, উচ্চরক্তচাপ সঠিক সময়ে নির্ণিত না হলে আক্রান্ত ব্যক্তি মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের উচ্চরক্তচাপ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
কর্মসূচিতে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ, অধ্যাপক খালেদ মহসীন, ডা. ফাতেমা বেগম, ডা. কায়সার নসরুল্লাহ খান, ডা. মহসীন আহমদ, ডা. মো. আরিফুর রহমান, ডা. মতিউর রহমান, ডা. সেলিম মাহমুদ, ডা. সাইদুর রহমান খান, ডা. মো. জাহিদ হাসান, ডা. মাহবুবা আক্তার চৌধুরী এবং ডা. শিবলী শাহেদ।
আইপিডিআই ফাইউন্ডেশনের সিইও এবং জেনারেল সেক্রেটারি ডা. মহসীন আহমদ বলেন, সাধারণত রোগীরা হাইপারটেনশনজনিত জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই আইপিডিআই ফাইউন্ডেশন ‘আইপিডিআই হাইপারটেনশন সেন্টার’ প্রতি শনিবার দিনব্যাপী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে হাইপারটেনশন চিকিৎসা সেবা দিবেন। পরবর্তীতে রোগীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে হাইপারটেনশনজনিত জটিলতা রোধে কাজ করে যাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন