শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়াকাটায় ঘন ঘন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, প্রতিবাদে খাবার হোটেল মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, বন্ধ ঘোষনা

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ৪:২৬ পিএম

 কুয়াকাটায় ঘন ঘন ভ্রাম্যমান আদালতের নামে হয়রানির অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করেছে খাবার হোটেল মালিকরা। বুধবার সকাল থেকে সকল খাবার হোটেল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তারা এ কর্মসূচি পালন শুরু করে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।

খাবার হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতি জানায়, গত দুই বছর করোনালকডাউনের কারনে তাদের হোটেল রেস্তোরা বন্ধ ছিলো। তবে হোটেল বন্ধ থাকলেও তাদের কর্মচারীদের বেতন গুনতে হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় হোটেল মালিকরা। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা আগের লোকসান পুষিয়ে উঠতে ধারদেনা করে ফের ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে একের এক ভ্রাম্যমান আদালতের নামে হয়রানি করায় তারা অনেকটা নি:স্ব হয়ে পড়েছে। তাই প্রশাসনের কাছ থেকে ভালো কোন ফলাফল না পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের সকল হোটেল বন্ধ থাকবে।

যশোর থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জামাল হোসেন জানান, গতকাল রাতে কুয়াকাটায় এসেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে গিয়ে বেশ বিপাকে পরি। সকল খাবার হোটেল বন্ধ। অনেক হাটাহাটি করেও কোন হোটেল খোলা পাইনি। পরে মোটরসাইকেলযোগে ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে আলীপুর গিয়ে নাস্তা খেয়েছি। রংপুর থেকে আসা অপর পর্যটক আমিনুল ইসলাম জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। সকল খবার হোটেল বন্ধ থাকায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্যানযোগে মহিপুর গিয়ে সকালের নাস্তা করেছি।

খাবার হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মো: সেলিম মিয়া জানান, আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। ধরেন সারা দিনে একজন হোটেল মালিক মাত্র ১০ হাজার টাকা বিক্রি করলো। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসে তুচ্ছ কারনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলো। এভাবে একের পর এক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ফলে আমরা এখন নি:স্ব। হোটেল বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। কারন আমরা জরিমানা গুনতে গুনতে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছি। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সুরাহা না হলে আমাদের হোটেল অনির্দিষ্ট কারে জন্য বন্ধ থাকবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, মূলত কুয়াকাটায় পর্যটকরা এসে যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হয়, সে কারনেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের হোটেল খোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারপরও তাদের যদি কোন কথা থাকে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের কথা জানিয়েছি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন