পঞ্চগড়ে ধর্ম অবমাননা করে মিথ্যা প্রচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সময়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ মানিককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন তিনি। এর আগে একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম, প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতির বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে বোরখা নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে ধর্মীয় মুসলমানদের সুসংগঠিত করে। হিজাব পড়া ছাত্রীদের অফিসে ডেকে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে নেন প্রধান শিক্ষক। আমি সদ্য এমপিওভুক্ত আমজানী পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আমার কাছে প্রায় সময়ই চাঁদা দাবি করেন এবং তারই অনুরোধের পর আশরাফুল আলম পুতুলের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা নেন। সেই টাকা নিয়ে তিনি ভারত ঘুরে এসে পুনরায় চাঁদা দাবি করেন। দিতে না চাওয়ায় ধর্ম অবমাননার দায়ে আমাকে বহিষ্কার করবেন এবং যেই বিদ্যালয়ের সভাপতি সেটির এমপিও ভুক্তি বাতিল করবেন। আমজানী পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাহবুবুল আলমের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকার মোবাইল দাবি করেন। যার অডিও রেকর্ড দেয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন