জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির রেশ ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ভাড়া ৩০ ভাগ বৃদ্ধির সরকারী সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না বরিশাল-ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর বেশিরভাগ নৌপথে। তবে ভোলা-ঢাকা নৌপথে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হয়েছে।
গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হবার পরে রাজধানীমুখী দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের একটি বড় অংশ সড়কপথমুখী হবার ফলে নৌযানের ব্যবসায় যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর নতুন ভাড়ার তালিকায় বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ডেক শ্রেণীতে ভাড়া ৩৭৫ থেকে ৪৫৭ টাকায় বৃদ্ধি করা হলেও বেসরকারী নৌযানগুলো ৪শ’ টাকায়ই যাত্রী পরিবহন করছে। কেবিনের ক্ষেত্রেও বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হয়নি। এমনকি নতুন ভাড়া অনুযায়ী বরিশাল-ঢাকা নৌপথে একক শয্যার বাতানুকুল কক্ষের ভাড়া ১৮শ’ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বেসরকারী নৌযানগুলো গতকালও ১১শ’ টাকায় যাত্রী পরিবহন করেছে। একই সাথে দ্বৈত শয্যার কক্ষের ভাড়াও ৩ হাজার ৬শ’ টাকার স্থলে ২২শ’ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। নন এসি কেবিনের ভাড়া যথাক্রমে ১ হাজার ও ২ হাজার টাকা। সুন্দরবন গ্রুপ ও সুরভী নেভিগেশনসহ একাধিক নৌবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো ‘পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে ভাড়া হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে’ বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু হয়ে ১৬৫ কিলোমিটার বরিশাল-ঢাকা সড়ক পথের বেসরকারী এসি বাসে এখন ৯৫০ টাকা ও নন এসি বাসে ৭শ’ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সময়ের হিসেব বাদ দিলে ভাড়া বিবেচনায় এখনো নৌপথ ব্যয় সাশ্রয়ী। তবে কারো কাছে অর্থের চেয়ে যেমনি সময়ের মূল্য বেশি, তেমনি আবার অনেকেই সময়ের চেয়ে অর্থের বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে পথ চলছেন।
নৌযান মালিকদের মতে, পদ্মা সেতু চালু হবার পরে কেবিন ও সোফা শ্রেণীতে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়লেও ডেক যাত্রীর ক্ষেত্রে তেমন বিরূপ প্রভাব পড়েনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নৌযান ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, আমরা দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করেই সহনীয় ভাড়া নির্ধারণ করেছি। যা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও কম। তবে একাধিক সূত্রের মতে, যাত্রীদের নৌপথমুখী রাখতেই নৌযান মালিকগণ ন্যূনতম মুনাফায় এখন নৌযান পরিচালনা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন