একদিকে চীনের হুমকি, অন্যদিকে পাকিস্তানের ভয়। নিরাপত্তা ইস্যুতে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে নয়াদিল্লির। এই অবস্থায় রাশিয়া সফরে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল। বৈঠক করলেন মস্কোর এনএসএ-র সঙ্গে। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে থাকবেন চীন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও। তার আগে ডোভালের এই রাশিয়া সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। দু’দিনের সফরে বুধবার ডোভাল বৈঠক করেন রাশিয়ার এনএসএ নিকোলাই পাট্রুশেভের সঙ্গে। বৈঠক শেষে বিবৃতি জারি করে ক্রেমলিন। সেখানে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা বাড়াতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতেও। ভারত রাশিয়াার কৌশলগত সঙ্গী। এই অবস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে এই ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাবে মস্কো।” কেন ডোভালের এই রাশিয়া সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা? গত দু’বছর ধরে লাদাখ সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে চীন। নয়াদিল্লির আপত্তি উড়িয়ে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ‘গুপ্তচর’ জাহাজ পাঠিয়েছে বেইজিং। এমনকি পাকিস্তানের ভ‚মিতে লালফৌজ মোতায়েনের মতো খবরও সামনে এসেছে। এই অবস্থায় পিএলএ-কে ঠেকাতে রাশিয়ার থেকে ‘টিইউ-১৬০ বø্যাকজ্যাক’ বোমারু বিমান কিনতে চলেছে ভারত। যার পোশাকি নাম ‘সাদা রাজহাঁস’। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বন্ধুদেশগুলিকে সস্তায় সমরাস্ত্র বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে ক্রেমলিন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো। কিন্তু লাদাখের সীমান্ত সমস্যা বা শ্রীলঙ্কায় বেইজিংয়ের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ পাঠানো নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি ক্রেমলিন। তাই এখানে চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে পাশে পেতে চাইছে ভারত। টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন