স্পোর্টস রিপোর্টার : বর্তমানে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রায় সব মহলই উদ্বিগ্ন। শিক্ষাঙ্গন থেকে ক্রীড়াঙ্গন, সব জায়গাতেই দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বেশ আন্তরিকতার সঙ্গেই বিভিন্ন বাহিনী নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে, তারপরও কোথায় যেন একটা শূন্যতা রয়েই গেছে? বিশেষ করে গুলশান ঘটনায় অনেকটা দুমড়েমুচড়ে গেছেন বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় নাগরিকরা। কোনো কাজে হাত দেয়ার আগেই তারা ভাবছেন নিরাপত্তা নিয়ে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনও বেশ সজাগ। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চতুর্থ অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ (পুরুষ) হকি টুর্নামেন্ট। দীর্ঘদিন পর ঢাকায় কোন আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টের আসর বসতে যাচ্ছে। এ আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ সহ আটটি দেশ অংশ নেবে। দলগুলো হলো- চাইনিজ তাইপে, চীন, জাপান, ওমান, হংকং, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। একে সামনে রেখে ঢাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে।
যদিও বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে বিদেশী কোচরা নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে বাংলাদেশে আসতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন, তাতে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৮ জুনিয়র এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মাধ্যমে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পদক্ষেপ নেয়া বলে জানান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ। ইতোমধ্যে নাকি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কাছে ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যে কারণে বিদেশী দলগুলোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে নিজেদের পরিকল্পনার ছক এঁকেছে স্বাগতিকরা। খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘আমরা অনেকটাই নিশ্চিত জুনিয়র এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারব। বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে আশাকরি আগামী দু’মাসে তা অনেকটাই শান্ত হয়ে যাবে। সরকার যেভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে শতভাগ নজর দিচ্ছেন, তাতে আমি আশাবাদী পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আয়ত্তেই থাকবে। যদি নতুন করে কোনো ঘটনার উদ্ভব না হয়, তাহলে টার্ফে গড়াবে আন্তর্জাতিক এ আসর।’ তিনি আরো বলেন, ‘এশিয়া হকি ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তৈয়ব ইকরাম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশ ঢাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরাও এ বিষয়ে উনাকে আশ্বস্ত করেছি। তাছাড়া ওই টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে সভা হবে।’
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিদেশী দলগুলো এখন পর্যন্ত বিরূপ কোনো ধারণা পোষণ করেনি। হয়তো আরো কিছুটা সময় তারা পর্যবেক্ষণ করতে চাচ্ছে। সাফ দেশগুলো কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করলেও জাপান, চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ওমান আসতে চাইবে না। এ বিষয়ে রহমতউল্লাহর কথা, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে কোনো দেশই ঢাকায় আসতে চাইবে না। ৫০ ভাগ স্বাভাবিক অবস্থা থাকলেও আশা করছি আমরা টুর্নামেন্ট আয়োজনে সার্থক হবো। আন্তর্জাতিক হকি সংস্থা (এফআইএইচ) ও এশিয়া হকি সংস্থা (এএইচএফ) দুটি সংগঠনের সঙ্গেই আমাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আর তাদের আস্থার প্রতিদানও দিতে চাইব অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ আয়োজন করে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন