দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর বৈশ্বিক কন্টেনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় ৩ ধাপ এগিয়ে ৬৪তম স্থান অর্জন করেছে। ২০২১ সালে বার্ষিক কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে করা লয়েড’স লিস্টে ৩ ধাপ অগ্রসর হয় চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বের বন্দর এবং শিপিং সংক্রান্ত প্রাচীনতম জার্নাল লয়েড’স প্রতিবছর বিশ্বের কন্টেনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরগুলোর কার্যক্রমের হিসেব থেকে ১০০ বন্দরের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ২০২১ সালের কার্যক্রমের উপর প্রণীত তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে লন্ডনভিত্তিক অভিজাত এই ম্যাগাজিন। তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর টানা সাত বছর অগ্রসর হলেও ২০২১ সালে (২০২০ সালের কার্যক্রমের উপর প্রণীত তালিকায়) চট্টগ্রাম বন্দর ৫৮তম স্থান থেকে ৯ ধাপ পিছিয়ে ৬৭তম স্থানে গিয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর পিছলে পড়ে বলেও সূত্র জানায়। এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর আবারো অগ্রসর হওয়ার যাত্রা শুরু করেছে। এক বছরের মধ্যে তিন ধাপ অগ্রসর হয়ে ৬৪তম হওয়াকে এই অগ্রযাত্রার প্রথম ধাপ বলেও আখ্যায়িত করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। যার খেসারত দিতে হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরকে।
কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে বন্দরের কর্মকাণ্ড আবারো বাড়তে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০২১-এর লয়েড’স তালিকায় বিশ্বের ১০০টি শীর্ষ বন্দরের মধ্যে ৬৭ তম স্থানে আসার ব্যাপারটি যথেষ্ট সন্তোষজনক।
চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালে মোট ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করে। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউএস। কন্টেনার হ্যান্ডলিং এ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩.২ শতাংশ। যা একটি সন্তোষজক প্রবৃদ্ধি বলেও বন্দরের কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, লয়েডস তালিকায় ২০১৯ সালেও চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম স্থানে ছিল। অবশ্য ২০১৮ সালে ৭০তম, ২০১৭ সালে ৭১তম, ২০১৬ সালে ৭৬তম এবং ২০১৫ সালে ৮৭তম ২০১৪ সালে ৮৬তম স্থানে ছিল। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের মোট কন্টেনারের ৯৮ শতাংশ হ্যান্ডলিং করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন