চট্টগ্রামের রাউজানে পুকুর থেকে মো. আহান চৌধুরী নামে ৫ মাসের এক শিশুপুত্রের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১২টায় কদলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাকিম ফকিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফিতর মো. চৌধুরী বাড়ির রবিউল হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দা ফারজানা আকতারের একমাত্র ছেলে সন্তান।
রবিউল হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে আমার স্ত্রী ফুফুর বাড়ি কদলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাকিম ফকিরের বাড়ির (মো. মফিজ মাস্টারের ঘরে) বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে ছেলেকে খাটে ঘুম পাড়িয়ে সবার সাথে বসে সামনের রুমে খাবার খাচ্ছিল। ওইসময় আমি আমার সাড়ে ৪ বছর বয়সী (বড়) মেয়েকে নিয়ে সামনে হাঁটাহাটি করছিলাম। আমার স্ত্রী খাওয়া সেরে উঠে দেখেন ছেলে খাটে নেই। পরে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ির পেছনে পুকুরে ছেলের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান। এরপর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথম রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে গহিরার একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, আমার শিশু সন্তানের বয়স ২৩ আগস্ট ৫ মাস পূর্ণ হবে। সে এখনো হামাগুড়ি দিতে জানে না। কিভাবে পুকুরে পড়লো বুঝতে পারছি না। বাড়ির ছেলেরা হয়তো খেলতে নিয়ে যেতে পারে পুকুর পাড়ে। সেখানেই হয়তো কারো অজান্তে আমার বাচ্চাটি পুকুরে পড়ে গেছে।
রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিয়ের ৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার ফুফুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে ২ সন্তানের মধ্যে ছেলে সন্তানটি হারালাম। তবে এটি কোনরকম হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছি না।
কদলপুর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনি পানিতে ডুবে ওই শিশুর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন