খুলনা উপজেলার ইখরি চড়পাড়া গ্রামের ১২ বছর বয়সী মাদরাসা ছাত্রীকে চলছিলো বউ সাজানোর কাজ। অন্যদিকে, অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা চলছিল। বর পক্ষ হাজির। বিয়ের সব আয়োজনই সম্পন্ন, ঠিক এমন সময় হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাথে সাথে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। পালিয়ে যায় বরপক্ষ। ছাত্রীর মা কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বরের খালাতো ভাইকে ৮ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার তেরখাদা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার ইখড়ি চড়পাড়া এলাকায় ১২ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির ওই মাদরাসা ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের পিতা শফিকুল কাজু, বর আলমগীর ও বরের পিতা আব্দুর রশিদ পালিয়ে যান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের চাপের মুখে সেখানে হাজির হন মেয়ের মা খুকু মনি ও বরের খালাত ভাই আলম। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মোতাবেক কনের মা কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বরের খালাতো ভাই মফিজকে ৮ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাল্য বিবাহ নিরোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর হোসেন ও থানার এস আই মো. মনিরুজ্জামান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন