রেলওয়ে অফিসারদের ”কার্ডপাস” টিকিটের গোপন পাস ওয়ার্ড চুরি করে কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে বরখা¯ত করা হয়েছে বেনাপোল টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুনকে।
পাসওয়ার্ড চুরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল বেনাপোল রেল ওয়ের টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুন।
রাজস্ব ফাকির ঘটনা তদন্তে ধরা পড়ায় বেনাপোল রেল ষ্টেশনে ডেপুটিশনে কর্মরত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুনকে সাময়িক বরখস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ঘটনা তদেন্ত ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে( ১লা আগষ্ট-২০২২ ) ঈশ্বরদি রেলওয়ে জংশন থেকে ইব্রাহীম নামে একজন টিকিট কালেক্টরের হাতে এ ঘটনাটি প্রথম ধরা পড়ে। তার পর বেড়িয়ে পড়ে থলের বিড়াল।
বেনাপোল রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্মরত টিকিট বুকিং সহকারী গ্রেড-২ এনামুল হক মামুন গত ৭ জানুয়ারী ২০২২ বেনাপোল রেলওয়ে ষ্টেশনে ডেপুটিশনে যোগদান করেন। এখানে যোগদান করার পর সে অফিসারদের গোপন কার্ড পাস ওয়ার্ড চুরি করে অফিসারদের শীতাতাপ নিয়নন্ত্রীত ৪ সিটের প্রতিটি কেবিন ৪হাজার ৪শত ৬৪ টাকায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে তার বিক্রয় কৃত ৪ লাখ টাকার টিকিট ধরা পড়েছে কর্তৃপক্ষের হাতে। তাছাড়া সে টিকিট কার্ড পাসের মাধ্যমে ব্লক করে যাত্রীদের নিকট নগদ অর্থে বিক্রি করেছে কয়েক লাখ টাকার। তদন্ত ছাড়া টাকার পরিমান বলা সম্ভব নয় তবে কর্তৃপক্ষ ধারনা করছেন মোটা অংকের সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সে টাকা আত্বসাত করেছে এটা নিশ্বিত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুন জানান আমার দোষ আমি স্বীকার করেছি অন্যায় হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাকে সাময়িক চাকুরি থেকে বরখস্ত করে রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
পাকশিয়া রেল ওয়ের বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন ঘটনাটি ঘটেছে এমন সত্যতার কথা স্বীকার করে জানান এ ব্যাপারে বেনাপোলে ডেপুটিশনে কর্মরত একজন টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুনকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন