রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পদ্মা সেতুতে রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। চার মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। প্রকল্পের ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। এছাড়া কাজের ফাইন্যান্সিয়াল অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ এবং ফিজিক্যাল অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। এই মূল্যায়ন কনসালটেন্ট গ্রুপের, তবে চায়না কনস্ট্রাকশন গ্রুপের মূল্যায়ন কাজের অগ্রগতি আরও অনেক বেশি। গতকাল শনিবার পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ট্র্যাক বসানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হলেও আপাতত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। আমরা এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন প্রস্তাব পাঠাইনি। তাই আমরা এই মুহূর্তে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কথা ভাবছি না। এর আগে রেলমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর রেললাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে সেতুর মাওয়া প্রান্তে থেকে গাড়িবহর নিয়ে জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের রেল অংশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে। সময়মতো বাস্তবায়নে প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত।
২০১৮ সালে পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে একই দিনে রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু রেললাইন বসানোসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পিছিয়ে আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে সরকারের সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল নিশ্চিতের দায়িত্ব রেলওয়ের।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন