শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আজও তারা বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলে

২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মতলবের আতিক

মতলব(চাঁদপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২২, ৪:৫০ পিএম

আজও তারা বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলে। বাবাকে হারিয়ে আজ আমার সন্তানরা এতিম। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় তিন ছেলে ও এক মেয়ের মুখে দুই বেলা ভাত তুলে দিতে পারলেও বাবার অভাব পূরণ করতে পারিনি। এভাবেই বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী গ্রামের আতিক উল্লাহর স্ত্রী লাইলী বেগম।
তিনি বলেন, ৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আমার দুই সন্তানকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৫ বছর পার হলেও এখনো মেলেনি চাকরি। তাই এতিম সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে আমি শঙ্কিত।
নিহত আতিক উল্লাহর বড় ছেলে মো. মিথুন সরকার জানায়, এখনো খুঁজি আমরা বাবাকে। রাতের আঁধারে মায়ের কান্না আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বাবার সব স্মৃতি। তখন মনের অজান্তেই হারিয়ে যাই বাবার সান্নিধ্যের অপার আনন্দের দিনগুলোতে। আর তখনই দুচোখ বেয়ে বেরিয়ে পড়ে অশ্রু। তিনি বলেন, বাবার অভাব আমরা প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি।
নৃশংস হত্যাকা-ের ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো মতলব উত্তরের আতিকের শোকে কাতর স্বজনরা। প্রিয়জনদের হারানোর বেদনা এখনো তাদের কাঁদায়। তবে সরকারিভাবে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
এদিকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া গ্রেনেড হামলার রায় হলেও পুনরায় আপিল করায় এখন হাইকোর্টে তা বিচারাধীন। এমতাবস্থায় বিচারের রায় দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ওই ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তরের পাঁচআনী গ্রামের আতিক উল্ল্যাহর স্বজনরা। দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ হত্যাকা-ের বিচারকার্য শেষ না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যদিও ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই বারে পরিবারেকে ১১ লাখ টাকা করে অনুদান দেন। এরপর পুনরায় গত ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল আতিক উল্লাহর ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে ২৫ লাখ টাকা দেন। যা দিয়ে তাদের পরিবারে কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুছ জানান, শুধু কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়েই ওইসব পরিবারের শোক মুছে ফেলা যাবে না। অপরাধীরা শাস্তি পেলে কিছুটা হলেও তারা শান্তি পাবে। তাই দ্রুত বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন