রুপগঞ্জে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা এবং পুলিশ কর্তৃক ছাত্রদলের ৪ জন নেতাকে গ্রেফতার ও ২৩ জন নামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে যে, ২২ আগস্ট থেকে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে গত ১৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রুপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। উক্ত সভা চলাকালীন সময়ে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়।
তাদের এই হামলায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সুরুজ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, সাদিকুর, আরিফ ও ওমর ফারুকসহ আরো ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়, এবং তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ছাত্রলীগের এই হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং উল্টো ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবু মো. মাসুম, যুগ্ম-সম্পাদক আলআমিন, কাউসার ও আল মনসুরকে গ্রেফতার আদালতে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে এই ৪ জনসহ ২৩ জনকে এজাহার নামীয় করে মোট ৫০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ছাত্রলীগের এই ন্যাক্কারজনক হামলা এবং পুলিশের মিথ্যা মামলা দায়েরের এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার ও প্রশাসনের মদদে ছাত্রলীগ আজ নিয়ন্ত্রণহীন। তাদের লাগামহীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সভা-সমাবেশ করা ছাত্রদলের গণতান্ত্রিক অধিকার। বেপরোয়া ছাত্রলীগ সেই গণতান্ত্রিক চর্চাও করতে দিচ্ছে না। তারা বারবার ছাত্রদলের উপর হামলা করে যাচ্ছে। তাদের এই অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড এবং সেই সংগে পুলিশের পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ আইনের শাসনের চরম ব্যত্তয় বলে আমরা মনে করি।
আমরা অবিলম্বে হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করছি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ ছাত্র নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন