খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে র্যাব ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে দলাল চক্রের ৩২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এদের ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে, বাকি ১৪ জনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালের দিকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে আর বাকিদের অর্থদণ্ডের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি খুমেক হাসপাতালে দালালদের উপদ্রব খুবই বেড়ে গেছে। খুলনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষেরা তাদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমন সব অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব খুমেক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে র্যাব-৬-এর পরিচালক লে. কর্ণেল মোশতাক আহমদ বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমাদের একটি মৌলিক চাহিদা। হাসপাতাল ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বড় পরিসরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। দালাল চক্রের সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। বিভিন্ন বিচার বিশ্লেষণ করে ৩২ জনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে যারা বিঘ্ন ঘটাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আগামীতে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
অভিযানে অংশ নেয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী বলেন, দালালদের ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে টার্গেট করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎতপরতা চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তারা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে বিভিন্ন নামসর্বস্ব ক্লিনিকে নিয়ে যায়। তারা সরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে বাধা দেয়। ৩৪ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
১৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ২ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রামাণিত না হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক মো. রবিউল হাসান বলেন, মাঝেমধ্যে আমরা অভিযান চালাই। তবে অভিযানের খবর আগে থেকে পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যায়। র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন