বাংলাদেশ ইজিবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির যশোর জেলা শাখা নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই শহরের সব রুটে বর্তমান ভাড়ার সাথে আরো ৫ টাকা বাড়িয়েছে। যা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামীমুজ্জামান শামীম।
এদিকে যশোর পৌরসভার সাথে সমন্বয় না করেই পৌর এলাকায় ইজিবাইকের ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলছেন পৌরসভা ও যাত্রীরা। ভাড়া বৃদ্ধির খবর শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ইজিবাইকের যাত্রীরা। অন্যদিকে ভাড়া কার্যকরের নির্ধারিত তারিখের আগেই ইজিবাইক চালকরা জোড়পূর্বক বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলেও অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে যশোরসহ সারা দেশেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে স্বল্প আয়ে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ইজিবাইক চালিয়ে তাদের সংসার চলে। আয়ের অর্ধেকের বেশি চলে যায় গাড়ি মালিকের কাছে ও চাঁদা দিতে। এজন্য বাধ্য হয়ে বাঁচার তাগিদে সংগঠনটি ভাড়া বাড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে।
যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু বলেন, যশোর পৌরসভায় সকল ইজিবাইক-রিকশার অনুমোদন দেয় পৌরসভা। ভাড়া নির্ধারণও করে পৌরসভা। পৌরসভা-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেই ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। এই ভাড়া নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সৃষ্টি হবে দ্বন্দ্ব ও বাগবিতণ্ডা।
রাজ্জাক কলেজের শিক্ষার্থী আছমা বলেন, ধর্মতলা থেকে কলেজ পর্যন্ত ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা করেছে। এটি কোনোভাবে মানতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের জন্য একটু শিথিল করার প্রয়োজন ছিলো। এদিকে শহরের মনিহারের বাসিন্দা আলম বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, যানবাহনে ভাড়া বৃদ্ধি কিন্তু আমাদের মজুরি বা বেতন তো বাড়ছে না। এভাবে জীবনযাপন করা যায় না।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামীমুজ্জামান শামীম বলেন, শহরের মধ্যে আমাদের ভাড়া ছিল ৫ টাকা। সেটি এখন হবে ১০ টাকা। শহরতলীর জন্য হবে ১৫ টাকা। এছাড়া উপায় নেই। কেননা প্রতিদিন আমাদের রোজগার হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, তা থেকে আবার প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়। এতে ঘর ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো যাচ্ছে না। কেননা বাজারে গেলে সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য নিরুপায় হয়ে ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে তাদের। তিনি আরো বলেন, ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা পৌরসভার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও আমাদের দাবির বিরোধিতা করেননি। তাই আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি। ভাড়া বাড়ানোর নতুন তালিকা আমরা ইজিবাইক, পৌরসভা-পুলিশ প্রশাসনকে অনুলিপি দিয়ে দিবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন