ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী শশুরবাড়ি চলে গেছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে নিজের জন্য কবর খনন করলেন এক যুবক।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আবদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কবরের ভেতরে প্রবেশের সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
কবর খনন করা ব্যক্তি উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামের রসুল ফকিরের ছেলে কাবিলা। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি।
স্থানীয়রা জানান, কাবিলা ফকির প্রায় ১৮ বছর আগে নলছিটি উপজেলার পাওতা গ্রামের দেনছের আলী হাওলাদারের মেয়ে আসমা বেগমকে বিয়ে করেন। কয়েক বছর পর আরও দুটি বিয়ে করেন তিনি। তবে কাবিলা তিন স্ত্রীকে নিয়েই বসবাস করছিলেন।
এদিকে পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে (৩) নিয়ে বাবারবাড়ি চলে যান। পরে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কাবিলা। তবে ফিরিয়ে আনতে না পেরে অভিমান ও হতাশায় নিজের কবর খনন করেন তিনি।
এ বিষয়ে কাবিলা বলেন, আসমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ওদের ছাড়া আমার জীবন বৃথা। ওদের না পেলে আমি কবরে বসেই মরব।
ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আবদুল হক বলেন, সোমবার সকালের দিকে নিজের কবর খোঁড়ার সংবাদ পেয়ে কাবিলার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি। তবে কাবিলা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই সে নানান রকম পাগলামি করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন