ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পরিবারের লোকজন মিলে মো. ফারুক মিয়া (৩৪) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রশি দিয়ে বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে বুধবার বিকেলে হত্যা করা হয় ফারুককে। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামের শাহীন উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া স্ত্রীকে নিয়ে গৌরীপুরের কলতাপাড়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। ফারুক নিজে মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে বাড়িতে আশ্রয় দিতেন না পরিবারের লোকজন। বাড়িতে জমির ভাগ চাওয়া নিয়ে গত সোমবার চাচা সবিকুলের সঙ্গে ঝগড়া হয় ফারুকের। পরে বুধবার জমির বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডেকে নেওয়া হয় ফারুককে। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পরই ফারুকের চাচা সবিকুল, বাবা শাহিন উদ্দিন, আরেক চাচা উবায়দুল ও ভাই জামান মিলে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানায়, ফারুক মাদকাসক্ত ও উশৃংখল ছিলেন। বাবার তিনটি ঘরও বিক্রি করে দিয়েছিল। টাকার জন্য চাপ দিতো। বাড়ির জমির জন্য চাপ দেওয়া পরিবারের সদস্যরা অতিষ্ঠ হয়ে তাকে পিটায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, বাবা, দুই চাচা ও এক ভাই মিলে পিটিয়ে ফারুককে মেরেছে প্রাথমিক ভাবে এমনটি জানতে পেরেছেন। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন