রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (১৯) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার তরুণীর বাবা থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে। এখনো পলাতক রয়েছে ৩ জন। গ্রেফতারকৃতরা হলো- গোয়ালন্দ পৌরসভার আড়ৎপট্টি এলাকার লাল মিয়া বেপারির ছেলে সজল বেপারী ওরফে শরিফ বেপারী, ঘোষপট্টি এলাকার আলতাফ ডাক্তারের ছেলে মিঠু এবং উত্তর উজানচর নতুন পাড়ার বাসিন্দা মৃত তোতা শেখের ছেলে আলামিন শেখ। এছাড়া এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে ১ জন এজাহারভুক্ত ও ২ জন অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৩ জন আসামি। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তরুণীর বাবা একজন দিনমজুর। গত শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে ঘরে নেই। কাছাকাছি খোঁজাখুঁজির পর রাত ২টার দিকে তারা তরুণীকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ বাজার হতে দৌলতদিয়া ঘাটগামী রেল ব্রিজের ঢালে খুঁজে পান। এ সময় তাদের উপস্থিতি দেখে সেখান থেকে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তরুণীকে সেখান থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে এবং হাতেনাতে আটক করে ধর্ষক শরীফ বেপারী ও মিঠুকে। তারা ঘটনার জন্য তরুণীর বাবার কাছে ক্ষমা চায়। অসহায় বাবা লোকলজ্জার ভয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
পরদিন গত রোববার তরুণীকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু দরিদ্র বাবা টাকার অভাবে মেয়েকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন নাই। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শে দুইদিন পর গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনকে জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৎক্ষণাৎ বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসিকে অবগত করেন। ওসি ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনা শোনার পর তরুণীর বাবাকে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এ সময় ভুক্তভোগী বাবা থানায় গিয়ে ওইদিনই ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, মামলা দায়েরের পর গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করি। অপর আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল তাদেরকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন