রাজধানীর কড়াইল বস্তিটি টিঅ্যান্ডটি, গণপূর্ত ও ওয়াসাসহ সরকারি সেবা সংস্থার জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। এসব জায়গায় রিকশা শ্রমিক, পরিছন্নতা কর্মী, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের প্রায় ৪০ হাজার ঘর বা দোকান রয়েছেম এসব ঘর বা দোকান অবৈধভাবে নির্মাণ, বরাদ্দ ও হস্তান্তরে বড় ধরনের চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলামিন (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ (ডিবি)।
বুধবার কড়াইল বস্তি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মোহাম্মদ আলী (৫৫), মো. খাজা, (৪৫) মো. আমজাদ হোসেন (৩৬), মো. হুমায়ুন কবির রাসেল (৩৪) ও মাসুদ আলম (১৯)।
ঘটনাস্থল থেকে মারামারির কাজে ব্যবহৃত বড় ছোরা, চাপাতি ও ডিস্ক কুড়াল, লোহার রডসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, কড়াইল বস্তিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৭ আগস্ট আলামিন নামে ওই ব্যক্তি খুন হন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ছায়াতদন্ত করে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, রিকশা শ্রমিক, পরিছন্নতা কর্মী, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসস্থল কড়াইল বস্তি।
তিনি আরও বলেন, মূলত টিঅ্যান্ডটি, গণপূর্ত ও ওয়াসা ইত্যাদি সরকারি সেবা সংস্থার জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় ৪০ হাজার ঘর বা দোকান। এসব ঘর বা দোকান অবৈধভাবে নির্মাণ, বরাদ্দ ও হস্তান্তরে বড় ধরনের চাঁদাবাজি হয়ে আসছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এসব স্থাপনায় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিয়েও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এছাড়া ডিশ ও ইন্টারনেট সংযোগ, ময়লা বাণিজ্য প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেও টাকা তোলা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন