পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন পরিষদে চোর সন্দেহে হেফাজতে থাকা সুজন নামের এক যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ৩ নং পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত সুজন গোয়াল পাড়া এলাকার মৃত কছিমদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গত বুধবার রাতে মসজিদের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে সুজনকে নিয়ে পরিবারসহ এলাকার লোকজন চেয়ারম্যানের বাসায় যায়। সেখানে জনসম্মুখে ব্যাটারি চুরি করে সুজন, জাহেদুল নামের আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে কয়েকবার চুরির অভিযোগ ছিল। পরে তাদেরকে রাত সাড়ে ৩ টায় পরিষদের হেফাজতে নিয়ে যায়। দুই জনকে পৃথক পৃথক রুমে বন্ধি করে। দুইজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় রাখেন চেয়ারম্যান। সকালে একজন গ্রাম পুলিশ বাজারে নাস্তা আনতে যায় অন্যজন মাঠে বের হন। কিছুক্ষণ পরে তারা উপরে গিয়ে দেখেন ফ্যানের সাথে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুঁলছে। পরে পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হেফাজতে থাকা জাহিদুলকেও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে জগদল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল ইমরান জানান, মসজিদের ব্যাটারি চুরি সন্দেহে গভীর রাতে পরিষদে আনা হয়েছে। রাত গভীর হওয়ায় পুলিশকে খবর না দিয়ে হেফাজতে রেখে দুইজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছিল। সকালে গ্রাম পুলিশ নাস্তা নিয়ে ফিরে আসে দেখে আত্মহত্যা করছে।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, খবর পেয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন