ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পরিবারের লোকজন মিলে ফারুক মিয়া (৩৪) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী মোসাঃ হোসনা বাদি হয়ে ওই মামলা করেন। তবে এঘটনার দুইদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামের শাহীন উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়ার সাথে বাড়িতে জমির ভাগ চাওয়া নিয়ে গত সোমবার চাচা সবিকুলের সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার জমির বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডেকে নেওয়া হয় ফারুককে। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পরই দু'পক্ষে তর্কে জড়ানোর একপর্যায়ে চাচা সবিকুল, বাবা শাহিন উদ্দিন, আরেক চাচা উবায়দুল ও ভাই জামান মিলে ফারুককে হাতে পায়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার নিহত ফারুকের স্ত্রী মোছাঃ হোসনা বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনার দুইদিন পার হয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী মামলার বাদি মোসাঃ হোসনাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি তবে তার ভাই মুরাদ বলেন, আমার ভগ্নিপতিকে নির্মম ভাবে হত্যার দুইদিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে সবকিছুর সহযোগীতা করে যাচ্ছি তারপরও এখন পর্যন্ত কেন আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি তা আমরা জানি না। তাই আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশাকরি খুব দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন