বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কীর্তনখোলায় ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা পেলনা ধর্ষক পুলিশ সদস্য

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ৮:০৫ পিএম

বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আহম্মেদ আত্মরক্ষার জন্য কির্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে অপর পাড়ে যাবার চেষ্টা করলেও ধর্ষিতা তরুনীর তৎপড়তায় শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে পুলিশের হেফাজতেই যেতে হয়েছে।

আলম সিকদারের পুত্র কাওছার আহমেদ নূরিয়া হাইস্কুলের পেছনে বুকভিলা গলিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে থাকতেন। সেখানে থাকাবস্থায় বাড়িওয়ালার ১৯ বছর বয়সী কন্যার সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাওছার ওই তরুনীকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। শেষ পর্যন্ত তরুনী সন্তান সম্ভবা হয়ে অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে সে প্রায় ২০ সপ্তাহের অন্তসত্ত্বা বলে চিকিৎসক জানান।
অবশ্য থানা পুলিশের সদস্যরা দাবি করেছেন, ২ মাস আগে তরুনীর সাথে বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু যখন ধর্ষিতা তরুনী তার গর্ভবতী হবার ঘটনাটি ধর্ষককে জানায় তখন থেকে সে লুকোচুরি শুরু করে। তরুনী তখন বাধ্য হয়ে কাওছার আহমেদকে খুঁজতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তরুনী নগরীর বধ্যভূমি এলাকায় কাওছারকে খুঁজে পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান এবং নিজেও কাওছারকে ধরার চেষ্টা করে।
এসময়ে কাওছার দৌঁড়ে কীর্তনখোলায় ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে নদীর অপর তীরে যাবার চেষ্টা করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে একটি ট্রলারযোগে মাঝ নদী থেকে কাওছারকে আটক করে। এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। পরে তাকে থানায় এনে আটক করে রাখা হয়।
কোতয়ালী থানার ওসি আজিমুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তরুনীকে পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম বা তার পরিবারের কেউ থানায় মামলা দায়ের করলে অতি দ্রুত কাওছার আহমেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। ২৬.৮.২০২২।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন