ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট চুরির নতুন কৌশল ও নতুন নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘দালাল’ হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ার ঘোষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে, সরকার গায়ের জোরে ভিন্ন পদ্ধতিতে ভোট চুরি করে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। গতকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা তাদের কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করিনি। আমরা জানি এই নির্বাচন কমিশন বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ। তারা সরকারের দালাল হিসেবে কাজ করবে। অতীতেও (২০১৪ ও ২০১৮ সাল) করেছে, এবারও করবে। সেজন্য আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ও তাদের সংলাপে অংশগ্রহণ করিনি। যারা সংলাপে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের মধ্যে বেশিরভাগ দল ইভিএমের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। কেননা, ইভিএম এমন একটা পদ্ধতি যেটা মানুষ তৈরি করে; মানুষই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেজন্য পৃথিবীর বহু উন্নত দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ একবার বিনা ভোটে, একবার দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। এবার ইভিএমের মাধ্যমে চুরি করার জন্য আরেকটি নতুন কৌশল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে। এটা এদেশের জনগণ গ্রহণ করবে না, কোনো রাজনৈতিক দল গ্রহণ করে না। আমরা বলেছি এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। এ দেশের মানুষ যাবে না। ইভিএম পদ্ধতি যদি চালু করা হয় তাহলেও আমরা এটাকে গ্রহণ করবো না।
বর্তমানে বাংলাদেশ একটা করুণ অবস্থার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মন্তব্য করে ড. মোশাররফ আরো বলেন, দেশে কেন অর্থনৈতিক বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে? কেন জ্বালানি তেলের দাম, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। কারণ, এ সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও গোষ্ঠীতন্ত্র। দেশের জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে যদি এই অবস্থা দেখি যে আমাদের ডলার নেই, রিজার্ভ কমে গেছে! কোনো ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। জনগণের জীবন অতিষ্ঠ। সেজন্য আমরা দাবি করছি অনতিবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের মাধ্যমে প্রকৃত সুষ্ঠু নির্বাচন। যার মাধ্যমে দেশের জনগণ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
শহীদ জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন