সোনাইমুড়ীতে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে সোনাইমুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির সমাবেশে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মিদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে সংঘর্ষ সোনাইমুড়ি বাজার ও এর আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৫জন নেতাকর্মি আহত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করে বলেন, নোয়াখালী-১ (চাখিল-সোনাইমুড়ী) আংশিক আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীমের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের সমাবেশে হামলা চালায়। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৫জন নেতাকর্মি আহত হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-১ (চাখিল-সোনাইমুড়ী) আংশিক আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, বিএনপি পুলিশ পাহারায় সমাবেশ করেছে। তাদের সমাবেশে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং তাদের হামলায় আমাদের একজন ছাত্রনেতা আহত হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'সোনাইমুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে একটি সমাবেশ ডাকা হয়। কিন্তু তারা সমাবেশ স্থলে কোন মঞ্চ, চেয়ার আনেনি। হঠাৎ করে তারা এক দিক থেকে চৌরাস্তা এলাকায় একত্রিত হয়। এ পুলিশ নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে। এমন সময় ওদের ভিতর হট্রগোল সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি আরও জানায়, এ সময় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও মন্তব্য করেন ওসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন