পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিজ তরুণী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা দেলোয়ার শিকদারকে আটক করছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউপির কেডডুগী গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে নিজ পিতাকে একমাত্র আসামি করে মহিপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত দেলোয়ার শিকদার গলাচিপা থানার মৃত তাজিমুদ্দিন শিকদারের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ওই তরুণীর একমাস আগে বিয়ে হয় এক যুবকের সাথে। তবে বিয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামী বাড়ির লোকজন তুলে না নেয়ায় গত একমাস ধরে বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে তরুণী তার নিজ চৌকিতে ঘুমিয়ে পরেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎই তার বাবা ওই চৌকির কাছে যান এবং তরুণীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করেন। এসময় তরুণী লোক লজ্জার ভয়ে ডাকচিৎকার দেননি। পরে গত শুক্রবার সকালে ফের তার মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে একইভাবে মুখচেপে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করেন। তবে ওই সময় বিষয়টি প্রতিবেশীদের নজরে এলে তারা ঘরের দরজা খুলে বাবা এবং মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা এসে বাবাকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের জানান, মেয়ে নিজেই বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ওই তরুণীকে গতকাল তার স্বামীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তার বাবা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, দেলোয়ার শিকদার মোট ৬টি বিয়ে করেছেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন