সরকার ঘোষিত হাওর ও চরাঞ্চলের মধ্যে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলাটি অন্যতম। জেলা শহর থেকে যমুনা নদীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন এই উপজেলা। ৩০-৪০ বছর আগে এই এলাকার যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরলেও, গত এক যুগ ধরে ভাঙ্গন ভয়াবহ হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, হসপিটালসহ উপজেলা সংশ্লিষ্ট সকল ভবন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, তারপর থেকেই উপজেলার সরকারি সকল দপ্তরের কার্যক্রম চৌহালী সরকারি কলেজের ভবনে চলছে। এছাড়াও কয়েক শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, কয়েক হাজার মানুষের বসতি বাড়ি গিলে খেয়েছে এই রাক্ষুসী নদী। বিলীন হতে হতে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এই উপজেলাটি। অসহায় মানুষগুলো সর্বস্ব হারিয়ে যমুনার বুকে জেগে উঠা চরে ও মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাগরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ঠাঁই খুঁজে বেড়াচ্ছে। ২১০ বর্গ কিলোমিটারের উপজেলাটির ৬০ শতাংশ ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করা হলে আগামী কয়েক বছরে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যাবে উপজেলাটি। তাই ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চায় চৌহালীর সর্বস্তরের মানুষ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে যমুনার করালগ্রাস থেকে আমাদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. ইমরান হোসেন আপন
শিক্ষার্থী, চৌহালী সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন