দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে যে সারের অভাব। এর ফলে কিছু অসাধু ডিলার সুযোগ নিচ্ছে। অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবেনা বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
গতকাল রোববার বিকালে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলার এবং ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে সারের জন্য ১৯ কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার সারে ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষক যাতে ভতর্তুকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করা হবে। কোথাও অবৈধ সারের মজুদ পাওয়া গেলে সেই সার প্রকৃত কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। যিনি যে এলাকায় ডিলারশীপ নিয়েছেন তাকে সে এলাকায় সার বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন কতটুকু বিক্রি হলো কতটুকু অবশিষ্ট থাকলো তা নিয়মিতভাবে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কার্যক্রম সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় শুরু হবে। খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস এর চাল বিতরণে যেন কোন অনিয়ম না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। বিরুপ আবহাওয়া হলে আমনের উৎপাদন কম হতে পারে সে জন্য আমরা সতর্কতা হিসেবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি। ইতোমধ্যে বেসরকারি চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স কমিয়েছি,আজই হয়ত গেজেট জারি হবে। তাছাড়া আমাদের খাদ্য মজুত ও পর্যাপ্ত রয়েছে। জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা ফারুখ হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হাসান ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয় নওগাঁ জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ভোক্তা খাদ্য বান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির আওতায় স্বল্প মূল্যে চাল ক্রয়ের সুবিধা পাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন