চট্টগ্রাম ব্যুরো : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের দক্ষতা বাড়াতে শীঘ্রই জাতীয় এসএমই নীতিমালা ঘোষণা করা হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে প্রথম আন্তর্জাতিক এসএমই মেলা-১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক কাঁচামালের সহজলভ্যতা বিবেচনা করে শিল্প স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আলোকে এসএমই ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী সমীক্ষা ও গবেষণা চালাচ্ছে। এসব শিল্প বিকাশে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের কি ধরনের প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিতে হবে তাও চিহ্নিত করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলা এ সমীক্ষার আওতাভুক্ত। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এসএমই নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের দক্ষতা বাড়াতে খুব শীঘ্রই জাতীয় এসএমই নীতিমালা ঘোষণা করা হবে।
নীতিমালা চ‚ড়ান্ত করার আগে চট্টগ্রাম অঞ্চলের এসএমই শিল্প উদ্যোক্তা এবং উদ্যোক্তা সংগঠনের পক্ষ থেকে বাস্তবসম্মত পরামর্শ ও সুপারিশ দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। আমির হোসেন আমু বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি।
এ খাতের ওপর ভর করেই দেশের অর্থনীতি দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এ খাতে। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে এসএমই খাত। সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিপুল সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৮ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বড় ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছে : লতিফ
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেন, এ দেশের ব্যাংকের অর্থ যারা লোপাট করেছে তারা বড় ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানমাল সব দিয়ে দায় শোধ করেন। বাংলাদেশের একশ’ জন মানুষ সব ব্যাংকের টাকা নিয়ে নিয়েছে। অর্থনীতি এগিয়ে নিতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে হবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকাÐে ‘জোর মনিটরিং’ করতে শিল্পমন্ত্রীর প্রতি আহŸান জানিয়ে এম এ লতিফ বলেন, ব্যাংকিং খাত থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয় না।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার। উদ্বোধন ঘোষণার পর অতিথিরা ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের নিচ তলায় মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। এবারের মেলায় কৃষিজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প, প্লাস্টিক, অটোমোবাইলস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, মেটাল সিকিউরিটি প্রোডাক্ট, স্টিল, বুটিক, হারবাল কসমেটিকস, কৃষি যন্ত্র, জুয়েলারি, পর্যটন, আইটি, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং এসএমই ফাইন্যান্সিং সেক্টরের উদ্যোক্তারা অংশ নিচ্ছেন। মেলায় থাকছে ৫৮টি স্টল। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন