মাগুরা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও সমাবেশে হামলার পর দলের ৩৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক ৬ নেতাকর্মীকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে মাগুরা সদর থানা পুলিশ। রোববার বিকেল ৪টার দিকে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠালে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার সকালে আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হোসেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৩৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোটরসাইকেল পোড়ানো ও দোকান-পাট ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করে।
মামলায় গ্রেফতাররা হলেন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান রাজা, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন রানা, জেলা যুবদলের সদস্য আবুল বাশার রিপন, যুবদলের সহ-সভাপতি ফিরোজ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তিতাস ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ছাকু।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন জানান, শনিবার সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা রোববার জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সঠিক তথ্য চিত্র তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশন করার পরও নেতাকর্মীদেরকে আসামি করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। রাতের ভোটের অবৈধ এই সরকারকে রাজপথে গণ আন্দোলন গড়ে তুলে উৎখাত করা ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ নেই। এজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সমাবেশ পণ্ড করে দেয় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এ সময় এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেলসহ ছয়টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি ইজিবাইক পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও দাবি তাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন