গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী (১৫) কে ধর্ষণ চেষ্টাকালে রামশীল ইউনিয়নের মহিলা মেম্বর বর্ণিতা মধুর ছেলে মৃদুল মধু (২২) নামের এক বখাটেকে আটকের ৮ ঘন্টা পর রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে উপজেলার জহরেরকান্দি গ্রামে। ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানায় তাদের বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে সকাল ৯ টার দিকে না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এর পর বেলা অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে খবর পাই যে তাদেরকে জহরেরকান্দি গ্রামে সূর্য্য হালদারের বাড়ি আটক করা হয়েছে। পুর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বনোজ কুমার মধু ঘটনার বিষয়টি নিস্চিত করে এ প্রতিনিধিকে জানান ওই ছাত্রী আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তবে সে আজকে অনুপস্থিত ছিল বিদ্যালয়ে আসেনি,স্হানীয়রা আমাকে ফোন করে পাশের একটি বাড়িতে আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী এবং মৃদুল মধু নামের এক ছেলেকে আটকের বিষয়টি জানায়,পরে চেয়ারম্যান সেখানে গেলে আমিও যাই এসময় ছেলে - মেয়ের অভিভাবকদের মধ্যে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার কথা বলা হয়। রামশীল ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস বলেন আমার পরিষদের ইউপি সদস্য বর্ণিতা মধুর ছেলে মৃদুল মধু ও আমাদের স্কুলের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আটক করার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি সমঝোতা করে নেওয়ার কথা বলে এসেছি। নাম প্রকাশে অনিহা প্রকাশ করে কয়েকজন স্হানীয়রা বলেন আমাদের স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সূর্য্য হালদারের ঘরের ভিতর ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে কাফুলাবাড়ি গ্রামের অখিল মধু ও মহিলা মেম্বর বর্ণিতা মধুর ছেলে মৃদুল মধু এর আগে ওই ফাকা ঘরের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে অবস্হান করার কথা টের পেলে স্হানীয় লোকজনের মনে সন্দেহ হয়, তখন তারা বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে রাখা হয়, সারাদিন আটক রাখার পর রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃদুল মধু কাফুলাবাড়ি গ্রামের অখিল মধুর ছেলে তার মা রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। মৃদুল মধুর মা ইউপি সদস্য বর্ণিতা মধু রাতে ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন আমার ছেলে মৃদুল মধু ঢাকায় ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, আজ দুপুরের দিকে আমার ছেলে এবং পাশের বাড়ির একটি মেয়েকে আটক করার খবর পাই,পরে সেখানে গিয়ে অনেক দেন-দরবারের পরে রাতে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। স্হানীয় শংকর বাড়ৈ রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি আগামীকাল সোমবার দু'পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে একটা সমাধান করার কথা বলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তারা বলেন সাড়াদিন একটা ছেলে একটা মেয়েকে আটকে রাখার পর বিষয়টি সমাধান না করে কেন রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হল,তাহলে তাদের আটকই-বা রাখা হয়েছিল কেন। এখবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ছেলে এবং মেয়েকে একঘরে মধ্যে দেখা গেছে তবে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন