সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরকদ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগষ্ট) ৭ম দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ ও কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এসময় আদালতের কাঠগড়ায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৩৯ জন আসামীকে সোমবার সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এই মামলার অপর নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন এবং একজন সম্প্রতি মারা গেছেন। ১০টা ১৫ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সাক্ষী হিসেবে উক্ত দুই জনকে হাজির করানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।
আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া, গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন