তালেবানের অন্তরবর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব রোববার দাবি করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রবেশ করছে।
কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান মোল্লা ফসিহ উদ্দিন এবং মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাথে মন্ত্রণালয়ের এক বছরের পারফরম্যান্স বর্ণনাকালে ইয়াকুব বলেন: ‘আমরা ড্রোনের সব রুট ধরতে পারিনি, তবে আমাদের গোয়েন্দারা রিপোর্ট করেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেছিল। আমরা দাবি করি যে, পাকিস্তান যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি না দেয়’। তিনি আরো বলেন, ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) রাডার সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল যখন আমেরিকানরা গত বছর আগস্টে দেশটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে, আইইএ-এর জাতীয় সেনাবাহিনীর সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজারে পৌঁছেছে এবং আটটি সীমান্ত চৌকি এবং প্রতিটিতে ৩ হাজার জন কর্মী রয়েছে।
সমস্ত প্রতিবেশী দেশ তাদের হেলিকপ্টার এবং বিমান ফেরত দেবে এবং কাউকে তাদের মাটিতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রাখতে দেওয়া হবে না বলে দাবি করেছেন ইয়াকুব ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৩১ জুলাই কাবুলে সিআইএ’র ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা প্রধান আয়মান-আল-জাওয়াহিরির হত্যার তদন্ত এখনও চলছে এবং এখনও শেষ হয়নি।
এর আগে, তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মিডিয়াকে বলেছিলেন যে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি আফগানিস্তানের আকাশসীমায় তাদের ড্রোন ব্যবহারের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের কাছে তাদের প্রতিবাদ নথিভুক্ত করেছে। মার্কিন ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা প্রধানের নিহত হওয়া ইঙ্গিত দেয় যে, উচ্চ-মাত্রার লক্ষ্য গ্রহণ এবং আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন পদচিহ্ন ছাড়াই দিগন্ত অতিক্রম করার ক্ষমতা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তার হত্যাকা-ে সিআইএ কীভাবে অভিযান চালায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সিআইএ এর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশী বাহিনী প্রত্যাহারের কোনো ভিত্তি নেই, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৯/১১ হামলার পরে কাজ করেছিল। আল-কায়েদা প্রধানকে বের করে দেওয়ার পেছনে পাকিস্তানের ভূমিকা থাকতে পারে বলে জল্পনা ছিল, কিন্তু একটি সরকারি সূত্র দৃঢ়ভাবে কিছু গুজব প্রত্যাখ্যান করেছে যে, ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে উড়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির আকাশসীমা ব্যবহার করেছে। সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন