তালেবান ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় নতুন করে খুলছে কাবুলের সিনেমা হল। তবে নতুন তালেবানি শাসনে রূপোলি পর্দায় মেয়েদের উপস্থিতি কার্যত থাকছে না বলেই খবর। গত বছর ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। তারপরেই বন্ধ হয়ে যায় রাজধানী কাবুল-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সিনেমা হলগুলি। অবশেষে আমজনতার বিনোদনের অধিকার ফেরাচ্ছে তালেবানি শাসকরা।
তবে জনতা কী সিনেমা দেখবেন তা বেছে দেবে সরকার। জানা গিয়েছে সিনেমা এবং তথ্যচিত্র মিলিয়ে মাত্র ৩৭টি ছবি দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সব ছবিই নারী বর্জিত। তালেবান শাসকরা সিনেমা হল খোলার বিষয়ে রাজি হওয়ায় খুশি আফগানিস্তানের সিনেমা নির্মাতা এবং হল মালিকদের একাংশ। কিন্তু মহিলা চরিত্র ছাড়া সিনেমা তৈরি হবে কী করে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তালেবানি শাসনে মহিলাদের অধিকার খর্বের অভিযোগেও সুর চড়াচ্ছেন অনেকে।
তালেবানি আফগানিস্তানে আতিফা মোহাম্মদীই একমাত্র অভিনেত্রী যিনি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। মেয়েদের বাদ দিয়ে সিনেমা আদতে অত্যাচার বলে সুর চড়িয়েছেন রাজধানী কাবুলের বেশ কিছু মহিলা।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর মেয়েদের চাকরি, উচ্চশিক্ষায় কোপ পড়েছে তো বটেই। মুখ দেখিয়ে মেয়েদের রাস্তায় বের হওয়াও কার্যত বন্ধ। এখানেই শেষ নয়, কাবুল সহ আফগান শহরগুলির রাজপথে বিজ্ঞাপন হোর্ডিংয়ে মেয়েদের ছবিও নষ্ট করে দেয় তালেবান। চলতি বছর মে মাসে মহিলাদের জন্য নতুন করে ফতোয়া জারি করেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা।
ফের আফগান মহিলাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা চাদরি ব্যবহারের ফতোয়া জারি হয়েছে । বাড়ির বাইরে তো বটেই পুরুষ আত্মীয়দের সামনেও মেয়েদের মুখ ঢেকে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে তালেবান নেতারা। সেই তালেবান মহিলাদের অভিনয়ের সুযোগ দেবে না এটাইতো স্বাভাবিক, বলছেন কাবুলের অনেক বাসিন্দা। সূত্র: দ্য প্রিন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন