নোয়াখালীর সেনবাগে তেল গ্যাস বিদ্যুতে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও দেশ ব্যাপী গুম খুনের প্রতিবাদে বিএনপির কাজী মফিজ গ্রæপের বের করা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও আওয়ামীলীগের ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বের করা সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির কর্মীদের হামলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়, জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কাজী মফিজ গ্রুপের বিরুদ্ধে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালানোর সময় বিএনপি কর্মীদেরে হামলায় সেনবাগ থানার ৫পুলিশ সদস্য, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন, আবদুল হান্নান, সাবেক মেম্বার মমতাজের ৭বছরের শিশু সহ ৮-১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে এক শিশু সহ তিনজনকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়েছে। এসময় বিএনপির কাজী মফিজ গ্রুপেরও অন্তত ১৫-১৬ নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের। আহত বাকীদের তাৎক্ষনিক নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সোমবার বিকেলে সেনবাগের ডমুরুয়া ইউপির চৌ-মোড় সংলগ্ন কাজী মফিজের ব্রিকফিল্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। একই সময় ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ চৌ-মোড়ে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। বিকাল ৪টারদিকে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কাননের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা গাজীরহাট বাজারের দিকে চলে যাবার সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ২ সহস্রাধিক নেতাকর্মী লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওযামীলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৮-১০জন নেতাকমীকে আহত করে। এসময় চেয়ারম্যান একটি দোকানে আশ্রয় নিলে কাজী মফিজের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মীরা ওই দোকানে হামলা চালিয়ে সাটার ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে তিনি জানান। ওই সময় কর্তব্যরত পুলিশ শার্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান আওয়ামীলীগের মিছিলে হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামীলীগের মিছিল থেকে তাদের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের ১৫-১৬জন নেতাকর্মী আহত হয়।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি হামলা, ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এসময় হামলায় ৫পুলিশ সদস্য আহত হয়। কর্তব্যকাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার এঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন