আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি দোসররা। পরাজয়ের গ্লানি থেকেই মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ ও ভয়াল আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে "শোকের আগস্ট, শপথের আগষ্ট " শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার ৩০ (আগষ্ট) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (কাজী ওমর-জাহিদ) একাংশের আয়োজনে এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে নাই কোন সরকার। জিয়া যদিই বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত না থাকে তাহলে তারা কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে নাই। জিয়া শুধু হত্যা করে নাই যারা হত্যা করেছে তাদের সবাইকে নিরাপদে বিদেশ যাবার ব্যবস্থা ও তিনি করেছিলেন।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাঃ এস এ মালেক বলেন, মুসতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই, তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। আর জিয়াকে সাহায্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের কিছু লোভী মানুষ। জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের একজন এজেন্ট। তারা কখনো চায় নাই বাংলাদেশ নামক কোন দেশ হোক।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সহনশীল নেতা। তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম সকলের নেতা ছিলেন।সকল ধরনের মানুষকে তিনি মনেপ্রাণে ভালবাসতেন। এই সর্বজনীন নেতাকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়া ক্ষমতায় আসার পর উনিশ বার অভ্যুত্থান হয়েছে। এতে তিনি সেনাবাহিনীর, নৌবাহিনীর অসংখ্য সদস্যদের হত্যা করেন। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশে কোন স্বাধীনতাকামী সৈন্য না থাকুক। এতে কিছুটা সফলও হয়েছেন।
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ব নেতা। তিনি সবসময় শোষিত মানুষের পক্ষে কাজ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে ক্ষান্ত হয়নি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে গড়ার দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করলেও তার আর্দশ ধারণ করতে পারি নাই। তার আর্দশের মধ্যে দুর্নীতি ছিল না। অনিয়ম ছিল না, কিন্তু আমারা এখনো দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারিনি। বিশ্বের পরাশক্তিরা কখনো বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারে নাই তারা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং পঁচাত্তরের পনেরো আগষ্টে সপরিবারে হত্যা করেন।আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, একদিনে বঙ্গবন্ধু হওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু হতে হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝতে হবে। পাকিস্তানের সামরিক শাসক বঙ্গবন্ধুকে আটক করলে ও হত্যা করার সাহস দেখাতে পারে নাই, সেখানে এদেশের কিছু বিপথগামী মানুষ সেই দুঃসাহস কাজ করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করেছে। সোনার বাংলা গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ধারণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন