সেনবাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে দুই মামলায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে সেনবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, পৌর বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য ও পৌরসভার কাউন্সিলর মহিন উদ্দিন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিয়া মোহাম্মদ ওয়ালিদ বিন হায়দার, বিএনপির সাবেক জেলা কমিটির সদস্য জাফর খান, ছাত্রদলের কর্মী হাফিজুর রশিদ, শহিদুল ইসলাম, মো. আকাশ, ইমরান হোসেন, মো. মুরাদ, মো. হৃদয়, হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মো. ইস্রাফিল, জেলা বিএনপির কর্মী মোহাম্মদ আলী, ইমাম হোসেন ও আজিজুল হক।
গত সোমবার বিকেলে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট মোড় এলাকায় বিএনপির একাংশের নেতা- নেতাকর্মীদের সঙ্গে আ.লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি মামলা করেছে। মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানসহ ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৪০০-৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড় এলাকায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুটি মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন