এই প্রথম একই সাথে চারটি সন্তান প্রসব করে রীতিমত ইতিহাস সৃষ্টি করলেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মৌসুমী বেগম (২৯) নামের এক গৃহবধূ। মৌসুমী বেগম উপজেলার ৬ নং ভান্ডারা ইউপি’র ভান্ডারা সরকারপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে একে একে চারটি সন্তানের প্রসব করেন এই গৃহবধূ। এর মধ্যে ৩টি ছেলে ও ১টি মেয়ে। বর্তমানে চার নবজাতকসহ প্রসুতি মা সুস্থ্য রয়েছেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। এদিকে দিনাজপুরের এই প্রথম একই সাথে চারটি সন্তান প্রসব হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের মাঝে যেমন আনন্দ উল্লাস লক্ষ করা গেছে, একই সাথে ওই দম্পত্তির নিজ বাড়ী ভান্ডারায় ছড়িয়ে পড়েছে খুশির আমেজ।
গৃহবধূ মৌসুমী বেগমের স্বামী জানান, গত ২০ আগষ্ট প্রসব ব্যাথা অনুভব করলে ওই দিনই গর্ভবতী নারী মৌসুমী বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কয়েক দিন হাসপাতালেই চিকিৎসা নেয়ার পরে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সিজারের মাধ্যমে আমার স্ত্রী চারটি সন্তান জন্ম দেন। আমার স্ত্রী, নবজাতক সন্তানদেন সুস্থ্যতার জন্য আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. ইসরাত জাহান জানান, নবজাতকদের বর্তমানে নিবিড় পরিচর্যা ও পর্য়বেক্ষণে রাখা হয়েছে। সফল ভাবে সিজার করে জন্ম নেওয়া চার সন্তানের মধ্যে ৩টি ছেলে ও ১টি মেয়ে। হাসপাতালের গাইনি ১নং ওয়ার্ড ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে মৌসুমী বেগম। তিনি ও তার সন্তানরা সুস্থ্য রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এই প্রথম দিনাজপুরে একসাথে ৪টি সন্তানের জন্ম হয়।
স্থানীয়রা জানান, শরিফুল ইসলাম ও মৌসুমী বেগম দম্পত্তির বিয়ের ১০ বছর পরে তাদের সংসাবে একসাথে ৪টি সন্তান জন্ম হয়েছে। এ খবর আসার পর এলাকায় খুশির আমেজ বইছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন