নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার গাজীরহাট মোড়ে সোমবার আওয়ামীলীগ-বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি ও সংঘর্ষের সময় পুলিশ আহত হওয়া ও আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় জানান সোমবার বিকালে উপজেলার গাজীরহাট মোড়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি ও সংঘর্ষের সময় পুলিশ আহত হওয়া ও আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আরো তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাহারুল ইসলাম দুলালকে সেনবাগ পৌর শহরের বাবুপুর, সফিকুল ইসলামকে ডমুরুয়া ইউনিয়নের নলুয়া এলাকা ও সেনবাগ পৌর শহরের বিন্নাগুনি এলাকা থেকে সফিকুল ইসলাম ছোটনকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষের পর এ পর্যন্ত বিএনপির ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার বিকেলে সেনবাগ উপজেলার গাজীরহাট মোড় এলাকার কেবিএম ইটভাটায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতা কাজী মফিজুর রহমান। বিকেলে বিএনপির একটি মিছিল সমাবেশ স্থলের দিকে যাওয়ার পথে গাজীরহাট মোড়ে পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশের মুখোমুখি হয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও তিনটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগান থেকে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান সহ ১ হাজার ৩৪৮ নেতা-কর্মীকে আসামী করে দু’টি মামলা হয়েছে। এর একটির বাদী পুলিশ ও অপরটির বাদী ইউনিয়ন আ.লীগের এক নেতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন