বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে ৩০ টাকা করে খোলা বাজার চাল বিক্রীর সাথে ৪.৮৬ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল বিক্রী কার্যক্রম শুরু হল

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৪১ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ৩০৮ টন চাল খোলা বাজারে বিক্রী কার্যক্রমের সাথে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে আগামী ৩ মাস ৩০ কেজি করে চাল বিক্রী কার্যক্রম শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। আগামী ৩ মাস দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ১৫৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ৩০৮ টন চাল বিক্রী করবে খাদ্য অধিদপ্তর। এ কার্যক্রমে ডিলারের সংখ্যা ইতোপূর্বের ৩৬ থেকে এবকার ১৫ তে উন্নীতদ করা হয়েছে। ফলে এবার আরো অধিক সংখ্যক মানুষ স্বল্পমূল্যে চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। আগামী ৩ মাসে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৮ হাজার টন চাল খোলা বাজারে বিক্রী করার লক্ষ্য রয়েছে খাদ্য বিভাগের। খোলা বাজারে এ চাল বিক্রী বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো পৌর এলাকা এবং জেলা ও উপজেলা সদরে সীমাবদ্ধ থাকছে। এর আওতায় বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ২১ জন ডিলার খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল বিক্রী করছেন।

পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা সদরের বাইরে ইাউনয়ন ও পল্লী এলাকার ৪ লাখ ৮৬ হাজার পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রমে আগামী ৩ মাসে প্রায় ৪৪ হাজার টন চাল বিক্রী করবে সরকার। খোলা বাজারে চালের অগ্নিমূল্য প্রতিরোধে সরকারের এসব কার্যক্রম ইতিবাচক ভ’মিকা রাখবে বলে আশা করছে খাদ্য বিভাগ।
গত কয়েক বছর ধরেই মার্চ ও এপ্রিল সহ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে ওএমএস-এর আওতায় জেলা ও উপজেলা সদরে খোলা বাজার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী হচ্ছে। পাশাপাশি একই সময়ে জেলা ও উপজেলা সদরের বাইরে পল্লী এলাকায় ১০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ ৮৫ হাজার পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রী কার্যক্রমও চলে আসছিল। কিন্তু এবার মার্চ ও এপ্রিল মাসে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী হলেও এখন তা ৫০% বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে।
সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে এ কার্যক্রম গ্রহন করলেও চালের দাম ১০ টাকা থেকে একলাফে ১৫ টাকায় উন্নীত করার বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট নন সুবিধাভোগি গন। পাশাপাশি এ চাল বিক্রী কার্যক্রম দু দফায় বছরে ৫ মাসের পরিবর্তে ৮ মাসে উন্নীত করারও দাবী রয়েছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে এ কার্যক্রম বছরের অন্তত ৮ মাস চালু রাখালে তা গ্রামঞ্চলের হত দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যাপক সুবিধা এনে দেবে বলেও মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকগন।
বরিশাল মহানগরীর বাইরে জেলার ১০টি উপজেলার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৬ টি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কেনার সুবিধা পাচ্ছেন। এ কার্যক্রমে পটুয়াখালীতে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩, ভোলাতে ৮৩ হাজার ৪৩৭, পিরোজপুরে ৩৫ হাজার ৮০৯, বরগুনাতে ৫৫ হাজার ৮০৪ ও ঝালকাঠীতে ৩২ হাজার ১৪০টি পরিবার এ সুবিধার আওতায় রয়েছেন। জনসংখ্যার অনুপাত সহ আর্থÑসামাজিক অবস্থার বিবেচনায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে বলে খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাছাই ও তদারকি কমিটির সুপারিশে উপজেলা কমিটি তালিকা চুড়ান্ত করে থাকে বলেও জানিয়েছেন বরিশালের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। ১-৯-২০২২.

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন