শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ আসবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:০২ পিএম

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইআরডি চেষ্টা করছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার।

বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ইফেক্টিভ এনগেজমেন্ট অব দ্যা মিডিয়া ফর সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সচিব শরিফা খান বলেন, আমাদের টার্গেট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের ওপরে কাজ করা। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এখন ভাইটাল এরিয়া। গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে আমাদের সার্ভাইভ করতে হবে, নিজেদের ট্রেডের ওপর। কষ্ট কমিয়ে কীভাবে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকে থাকতে হলে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশের পরিবর্তিত বাণিজ্য পরিস্থিতি মাথায় রেখে এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারলে এলডিসি গ্রাজুয়েশন বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনাও নিয়ে আসবে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

শরিফা খান বলেন, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করলে পণ্য বা সেবার প্রকৃত দামের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দরকষাকষির অবস্থায় পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ। এলডিসির সুযোগকে কাজে লাগাতে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন ইআরডি সচিব।

তিনি আরও বলেন, মিডিয়া এলডিসি গ্রাজুয়েশনের বিষয়ে দারুণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার আইডিয়া আছে ছোট ছোট ট্রপিক প্রচার করার। এলডিসি গ্রাজুয়েশন কী? এটা করলে কী উপহার হবে ইত্যাদি বিষয়ে। ভারত কিন্তু এসব নিয়ে কাজ করছে।

এ বিষয়ে ভালো গবেষক মিলছে না দাবি করে শরিফা খান বলেন, আমি হিমশিম খাচ্ছি ভালো গবেষক খুঁজে পেতে। গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে ভালো রিসার্চার পাওয়া যায় না। টেকনিক্যাল ইস্যুতে কম লোক পাওয়া যায়। আমি বাণিজ্যখাতে দীর্ঘদিন কাজ করেছি, তখন থেকে একটা শব্দ বার বার শুনে আসছি, সেটা হলো ডাইভারসিফিকেশন। কিন্তু এখনো আমাদের পোশাক খাতের ওপরে বেশি নির্ভর করতে হয়। আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ, বর্তমানে সেটা হয়ে গেছে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে থিংক ট্যাংকদের সেই রকম অ্যাকশন প্ল্যান দেখি না। গতানুগতিক অ্যাকশন দেখে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি ভালো রিচার্সচার আসুক কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ কিন্তু গবেষণা করা নয়। গবেষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাকআপ তথ্য সরবরাহ করবে। সেইগুলো নিয়ে আমরা পলিসি ফর্মুলেশন করবো।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (অনুবিভাগ প্রধান) ফরিদ আজিজজের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশনেন সাবেক সিনিয়র সচিব শাহিন আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সভাপতি হামিদ-উজ-জামান, সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন