কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাঙ্গলকোট থানায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে ৫০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। গত বুধবার রাতে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বাধন চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি য্গ্মু আহবায়ক ও উপজেলা আহবায়ক নজির আহাম্মদ ভূঁইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়াসহ, ৫১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এদিকে মামলার এজাহার নামীয় ১৯ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার কনকৈইজ গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, উরুকচাইল গ্রামের রকিব মজুমদার, শাহজাহান সুজন, সাগর, সেলিম হাসান মোতালেব, হাসান আহম্মদ, চিওড়া গ্রামের ইসহাক মজুমদার, পৌরসভার মান্দ্রা গ্রামের বোরহান উদ্দিন, দৌলখাঁড় গ্রামের এম. এ আজাদ মজুমদার, গিয়াস উদ্দিন, ঘোড়াময়দান গ্রামের গোলাম মুস্তফা মানিক, আব্দুর রহিম, সাহাব উদ্দিন, বাম গ্রামের মঈনুল আলম মজুমদার, পাইকোট গ্রামের আব্দুস সাত্তার, আলা উদ্দিন, নারান বাতুয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন, লালমাই উপজেলার শমেশপুর গ্রামের নাজমুল হাসান, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের আবু সাঈদ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি বুধবার সকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়। অপর দিকে একই সময়ে বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকালে নাঙ্গলকোট বাজার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও গুলি ছুঁড়ে। নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ১৯ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন