শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ৪৪০ আসনবিশিষ্ট সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রজেক্ট উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে দুই দিনের সিলেট সফরের প্রথম দিনে শুক্রবার ( ২ সেপ্টেম্বর) সকাল এগারোটায় নবনির্মিত তিনটি ব্লকের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর সংলগ্ন বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যোরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা ও তার পরবর্তী সময়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, খুবই দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ১ মাস সময়ের মধ্যে ১১ সেপ্টেম্বর এক বক্তব্যের সূত্র ধরে সৈয়দ মুজতবা আলীকে ভারতের দালাল বলে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। আমাদের সৌভাগ্য যে, মুজতবা আলী সাহেব বিদেশে গিয়ে দেশের মান ইজ্জত সমুন্নত রেখেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই হলে যারা থাকবে তারাসহ সবারই আরেকটা বিষয় মনে রাখা উচিত মুজতবা আলী সাহেব বলেছেন, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। সুতরাং তোমরা বই কেনা এবং বই পড়ার মনমানসিকতা গড়ে তুলো। তাহলে সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রতি আমরা একটা দায়বদ্ধতা সম্পন্ন করব। এছাড়াও সম্প্রতি ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে ২য় স্থান অর্জনের প্রশংসা প্রকাশ করেন।
সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, সিলেট জ্ঞানীগুণীদের শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয় সাম্প্রতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সারাদেশের শিক্ষার তুলনায় এই সিলেটের অবনতি বেশি। যার কারণে এখানে আমাদের মাতৃ মৃত্যুর হার বেশি, আমাদের শিশু মৃত্যুর হারও বেশি। যদিও এখানে মাথাপিছু আয় ভালো। কিন্তু তবুও এগুলোর ওপর শিক্ষার প্রভাব পড়ে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর আমিনা পারভীন, শিক্ষক সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আখতারুল ইসলাম, প্রক্টর এসোসিয়েট প্রফেসর ইশরাত ইবনে ইসমাঈল, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র রুহুল আমীন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন