শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লালমনিরহাটে তিস্তা পারে আবারও বন্যা

ব্যারাজের ৪৪টি গেট খোলা

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৫৯ পিএম

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নি¤œাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যারাজের ৪৪ টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি রাত ৯টায় বিপদসীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১৫ সে.মি. উপরে প্রবাহিত হয়। ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় নিজেদের সবটুকু গুছিয়ে নিচ্ছেন নদী পারের মানুষজন।

পাউবো উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই ব্যারেজের ৪৪ টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি.নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। ৫২.৫৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.৬০) যা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রেকোর্ড করা হয়।

এই বছরে পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালমাটি,পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোংগাডারা,গোকু-া ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান,তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে জেলার চর এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পানিবন্দি পরিবার গুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য। তালিকা অনুযায়ী খুব দ্রুত ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন