দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে মারাত্মকভাবে। এর মধ্যে করোনাকালে শিক্ষা জটিলতার পাশাপাশি জড়িত পারিবারিক অশান্তির কারণেও এটা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রেম কিংবা ব্ল্যাকমেইলিং। ঢাকার হলিক্রস স্কুলের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। রাজধানীর দক্ষিণখানে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মোবাইল ফোনে ভিডিও গেম ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলা নিয়ে বাবা রাগারাগি করলে এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। যশোরে ঝিকরগাছায় প্রেমিকের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। লেখাপড়া নিয়ে মায়ের বাকতিণ্ডার এক পর্যায়ে বিষপানে আত্মহত্যা করে ১৩ বছর বয়সের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক ছাত্রীও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। এ কারণেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হয়েছে। অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মনোযোগ দেয়নি পড়াশোনার দিকে। করোনার পর অতিরিক্ত চাপে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সামাজিক নৈরাজ্য ও অর্থনৈতিক সমস্যাও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা বাড়িয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ কারণেই স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে কাউন্সিলিংয়ের উদ্যোগ নিতে পারে। এই কাউন্সিলিংই পারে আত্মহত্যা প্রবণতা অনেকটা রোধ করতে।
আজম জহিরুল ইসলাম
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন